হিমুর শুত্রবারের দিনলিপি


পৃথিবী বিনাশ হচ্ছে !
আমার উপরে একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা ফালানো হলো। হকচকিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। নাহ, পৃথিবী সুরক্ষিত। কিন্তু সমস্যা একটাই হিমু অসুরক্ষিত। সামনে মা এবং তার মুখের সেই পবিত্র বাণী। যে বাণী পৃথিবীর সকল মায়েদের জন্য বলা ফরজ,"সারাদিন ঘুমানো লাগে? " মোবাইলে দেখলাম ১০ টা ০২ বাজে। তারাতারি ব্রাশ করে নাস্তা করলাম। মোবাইল ধরা মাত্র মা মোবাইলটা বাজ পাখির ন্যায় ছো মেরে নিলো। "কাজ আছে"। আমি বললাম, কি কাজ? "সারদিন খাও আর ঘুমাও তো তাই কিছু জানো না,বাসায় প্রচুর কাজ,আমাকে সাহায্য কর"। আমি কি মেয়ে? (মনে মনে বললাম, জোরে বললে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর)। কাজ করতে করতে হটাৎ মসজিদে ডাক দিলো : "আজ পবিত্র শুক্রবার, আপনারা সবাই নামায পড়তে আসুন"। নামাযের কথা বলে মার থেকে ছাড়া পেলাম। গোসল করলাম। আজ হিমু গল্পের সেই হলুদ পান্জাবি পড়বে না। হিমু তো আজ আধুনিক,সাদার মধ্য বিভিন্ন রকম উদ্ধট রেক দেওয়া পান্জাবিটা পড়লাম। নামায পড়তে শেষ কাতারে দাড়াতে হলো। ইদানিং সাজেক ঘুরতে আসা পর্যাটকদের কারণে মসজিদে জায়গা হয় না। নামায শেষ, মুনাজাত হলো। সবাই চলেও গেলো। হিমুর মনে গভির সন্দেহ,তবে কি আজ মসজিদে সিন্নি দিবে না? মোল্লাকে জিগ্গাসা করতেই ছোটলোক বলে গালি দিলো। আমার বোঝে আসেনা সিন্নির কথা জিগ্গেস করতেই মোল্লা আমাকে ছোটলোক কেনো বললো,যাই হোক বাসায় আসলাম,আজ মন ভালো নেই তাই আর ভাত খাবো না। বিছানায় শুয়ে পরলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা ৬ টা বাজে,মা চা খাওয়ার জন্য ডাকলো। শুনেছি বড় বড় সাহিত্যিকরা নাকি কফি খেতেন আর সাহিত্য রচনা করতেন,কতটুকু সত্য তা অজানা। তাই গরিবের কফি খাচ্ছি আর লিখতেছি। এখানেই সমাপ্ত। ঘুমাবো।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ