কুকুরের মাংসের স্বাদ এবং স্বাদের ভিন্নতা।



কুকুরের মাংসের স্বাদ কেমন হয় তার সম্পর্কে কোনো ধারনা না থাকলেও ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সর্বশেষ এক শিক্ষা সফরে। 


সাফারি পার্কে সাফারি করতে করতে ক্লান্ত এবং সামান্য পরিমানে খিদা অনুভব হতেই বান্ধবী তাবাসসুম তার ব্যাগ থেকে কেক বের করে ভাগবাটোয়ারা করা শুরু করলো। বিশাল সাফারি পার্কে অনেক কিছু থাকলেও এই সামান্যটুকু কেকরই যেনো অভাব। প্রথম অবস্থায় অতটা খেয়াল না করলেও যখন কেক খাওয়া শেষ হলো তখন মনে হলো কেকটাতে হয়তো ভুলে লবনের পরিমান সামান্য ইকটু বেশিই দেওয়া।


কেকে লবনের কথাটা শেয়ার করতেই একেকজন হাসিতে লুটিয়ে পড়লো। পরক্ষণই মনে করিয়ে দিলো ফাঁসিয়াখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য পর্যবেক্ষণের সময় বান্ধবীর পায়ে জোঁক ধরতেই যখন অপ্রয়োজনীয় অতিঢং এ চেচাচ্ছিলো (যদিও এসব দেখে মজাই নিচ্ছিলাম) তখন আমিই মানবতার ফেরিওয়ালা রূপে অবতীর্ণ হই এবং জোঁকটিকে বান্ধবীর থেকে বাঁচিয়ে পরিবেশে মুক্ত করি। 


দীর্ঘক্ষণ পানি খোঁজার পরও পানি না পেয়ে জোঁকের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যা পরবর্তীতে আমাকে ভিন্ন এক স্বাদের অভিজ্ঞতা এনে দেয়। 


পড়ালেখা ভালো না লাগায় ছোট থাকতে গরুকে দেখে অনেক হিংসে হতো। আনমনে গরু হওয়ার এক সুপ্ত বাসনা ভর করতো। কেউ পড়ালেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছেনা, আপন মনে ঘাস খাচ্ছি। শুধু খাওয়া আর ঘুমানো। 


যত দিন যাচ্ছিলো ততই ভাবনা গাঢ় হওয়ার সাথে সাথে ঘাস এবং বিভিন্ন গাছের কচি পাতার স্বাদ নিয়ে ফেলি। তবে ব্যাপারটা অনেক রিস্কি এবং পাকস্থলী আর রসনার অনুরোধেই মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে এমন ভাবনা ভুলতে থাকে। 


যেমন স্বাদেরই হোক না কেনো। স্বাদের এই ভিন্নতা আমাকে বারবার টানে। নতুন কোনো স্বাদ গ্রহনে, নতুন কোনো অভিজ্ঞতা অর্জনে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ